রহমত নিউজ ডেস্ক 05 February, 2023 08:46 PM
ধর্মীয় শিক্ষায় অনন্য অবদানসহ সামাজিক বিভিন্ন কল্যাণমূলক অবদানের জন্য মানবকল্যাণমূলক সংস্থা ‘রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশন একুশে সম্মাননা’ পাচ্ছেন মাওলানা মুহিব্বুল হক গাছবাড়ী।
মাওলানা মুহিব্বুল হক গাছবাড়ি ১৯৬৯ সাল থেকে শিক্ষাকতা পেশায় নিয়োজিত আছেন। তিনি জামিয়া কাসিমুল উলূম দরগাহ হযরত শাহজালাল রাহমাতুল্লাহি আলাইহি সিলেটর মুহতামিম ও শায়খুল হাদিস, আযাদ দ্বীনী এদারায়ে তালিম বাংলাদেশের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এবং আল-হাইআতুল উলইয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’র অন্যতম সদস্য। তিনি ইসলামী আলোচক, গবেষক এবং চিন্তক আলেম। এছাড়া হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সহ সভাপতিও তিনি।
চলতি বছর মাওলানা মুহিব্বুল হক গাছবাড়ী ছাড়াও ‘রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশন একুশে সম্মাননা ২০২২’ এর জন্য মনোনীত হয়েছেন, ইসলামী চিন্তাবিদ হাফিজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ আবুল হাসান, শিক্ষা ক্ষেত্রে- স্বামী চন্দ্রনাথানন্দ, হিন্দু ধর্মীয় পুরোহিত কপিল দেব উপাধ্যায়, মুক্তিযুদ্ধে- বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল খালিক এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল হক এডভোকেট, ক্রীড়া ক্ষেত্রে- নাজির আহমদ চৌধুরী, সংগীতে- জামাল উদ্দিন হাসান বান্না, সাংবাদিকতায়- নজরুল ইসলাম বাসন, চলচ্চিত্র অভিনয়ে- হেলাল খান, কবিতায়- কবি এখলাসুর রাহমান, প্রবন্ধে- রওশন আরা চৌধুরী এবং গীতিকবিতায়- আবদুল ওয়াহাব মাস্টার প্রমুখ।
এছাড়া রাগীব-রাবেয়া সাহিত্য পুরস্কার (২০১৭-২০২২) এর জন্য মনোনীত হয়েছেন, ২০১৭ সালে গবেষণায়- ফোরকান আহমদ এবং কবিতায়- কবি মোহন রায়হান। ২০১৮ সালে গবেষণায়- প্রফেসর ড. শরদিন্দু ভট্টাচার্য এবং কবিতায়- কবি ফকির ইলিয়াস। ২০১৯ সালে গবেষণায়- ড. সৈয়দ শাহ এমরান এবং কবিতায়- কবি ডা. বিনেন্দু ভৌমিক। ২০২০ সালে কথাসাহিত্যে- প্রফেসর ড. নিলুফা আক্তার এবং সংগীতে- আবদুর রহমান। ২০২১ সালে গবেষণায়- সামারীন দেওয়ান এবং কবিতায়- কবি পুলক কান্তি ধর। ২০২২ সালে গবেষণায়- মোস্তফা সেলিম এবং কবিতায়- কবি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী। একুশে সম্মাননা ও রাগীব-রাবেয়া সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত এই গুণী ব্যক্তিদের অচিরেই আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মাননা ও পুরস্কার প্রদান করা হবে।
প্রসঙ্গত, রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশন সিলেট তথা বাংলাদেশে একটি স্বনামখ্যাত মানবকল্যাণমূলক সংস্থা। গরিব-দুখী-অসহায়, ছিন্নমূল ও দুস্থ মানুষের কল্যাণের কথা বিবেচনা করে উপমহাদেশের প্রখ্যাত দানশীল ব্যক্তিত্ব, বিশিষ্ট শিল্পপতি, চা-শিল্প উদ্যোক্তা, প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, শিল্প-সাহিত্যের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক, শিক্ষানুরাগী, দানবীর ড. রাগীব আলী নিজের এবং তাঁর সহধর্মিণী মহীয়সী বেগম রাবেয়া খাতুন চৌধুরীর নামে সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯৮ সাল থেকে রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশন কর্তৃক সিলেট বিভাগের বিখ্যাত কবি-সাহিত্যিক, গবেষক ও সংস্কৃতিসেবীদের সুকীর্তির স্বীকৃতি প্রদানের লক্ষ্যে রাগীব-রাবেয়া সাহিত্য পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়। প্রতি বছর দুইজন বিশিষ্ট কবি-সাহিত্যিককে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়ে থাকে। ২০১০ সাল থেকে প্রবর্তন করা হয় ‘রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশন একুশে সম্মাননা’। প্রতি বছর সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের কৃতীমান গুণী ব্যক্তিকে এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়ে থাকে।